নিউজ ডেস্ক : সম্প্রতি তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দ্রুততম সময়ে এগিয়ে যেতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণে কাজ চলছে উল্লেখ করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, “ইতিমধ্যেই ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২’ নির্মাণে একাধিক দেশ আগ্রহ দেখিয়েছে। এই মুহূর্তে সকল পক্ষের প্রস্তাবনা সমূহ যাচাই-বাছাইয়ের কার্যক্রম চলছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২’ মহাকাশে উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।”
রোববার (১২ মে) ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ মহাকাশে উৎক্ষেপণের ৬ষ্ঠ বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের আয়ের তথ্য জানাতে যেয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ‘জুনাইদ আহমেদ পলক’ বলেন, “বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে একদিকে যেমন আমাদের স্বনির্ভরতা তৈরি হয়েছে, তেমনি অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে দেশের ৪০টি চ্যানেলের পাশাপাশি দেশের বাহিরের বেশ কিছু চ্যানেলও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ব্যবহার করছে।”
প্রতিমন্ত্রীর দেয়া তথ্যমতে, “এখন পর্যন্ত ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ থেকে ১৫০ কোটি টাকার মতো আয় আসছে। এই আয় আরও বাড়াতে সরকার কাজ করছে।”
প্রসঙ্গক্রমে প্রতিমন্ত্রী ‘জুনাইদ আহমেদ পলক’ বলেন, “বঙ্গবন্ধু কন্যাদ্বয় বেঁচে যাওয়ার সঙ্গে বেঁচে গেছে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন। আজ আমরা অর্থনৈতিক মুক্তির দ্বারপ্রান্তে। সাংস্কৃতিক মুক্তির আন্দোলনও শুরু হয়েছে।”
এসময় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, “সরকার এখন বাড়ি বাড়ি সংযুক্ত ক্যাবল সংযোগও ডিজিটাল করতে চায়। ভবিষ্যতে টেলিভেশন দর্শকদের ভিডিও অন ডিমিান্ড থেকে শুরু করে নতুন নতুন সেবা দিতে চাই ক্যাবল অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশর পক্ষ থেকে। অ্যাটকো-কোয়াব সবাইকে নিয়ে এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগের ব্যবস্থা করবো। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অল্প দিনের মধ্যে সেটটপ বক্স বন্ধে কঠোর অভিযান শুরু হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রযুক্তি মাধ্যমে রাজস্ব বৃদ্ধি করতে চাই।”
এদিকে ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত উক্ত বিশেষ অনুষ্ঠানে কক্সবাজার থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট মন্ত্রী ‘ড. হাছান মাহমুদ’ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে আমাদের বিজয় কেতন উড়ছে। এই কেতন যেন চিরদিন উড্ডীন থাকে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে দেশকে সংযুক্ত করে যেনো আমরা উন্নত দেশের সঙ্গে সমান তালে এগিয়ে যেতে পারি।”
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ নির্মাণ এবং উৎক্ষেপনের পুরো প্রক্রিয়ায় ব্যয় হয়েছিল প্রায় ২ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। উৎক্ষেপণের সময় থেকে স্যাটেলাইটটির মেয়াদকাল ১৫ বছর বলা হলেও মেয়াদকাল আরও তিন বছর বাড়িয়ে ১৮ বছর সম্প্রসারিত করা সম্ভব বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের অবস্থান ১১৯.১ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমার কক্ষপথে। এর ফুটপ্রিন্ট বা কভারেজ হবে ইন্দোনেশিয়া থেকে তাজিকিস্তান পর্যন্ত বিস্তৃত। শক্তিশালী কেইউ ও সি ব্যান্ডের মাধ্যমে এটি সবচেয়ে ভালো কাভার করবে পুরো বাংলাদেশ, সার্কভুক্ত দেশসমূহ, ফিলিপাইন এবং ইন্দোনেশিয়া।
এএইচএম/ডেস্ক রিপোর্ট/তিতাস টাইমস২৪
0 মন্তব্যসমূহ