নিউজ ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রতিরোধে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্দেশনায় ছাত্রজনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে কাজ করতে পুলিশ সদস্যদের বাধ্য করা হয়েছিল। দেশজুড়ে পুলিশ সদস্যদের একাধিক নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের ফলশ্রুতিতে একাধিক থানায় ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, ও পুলিশ সদস্যদের উপর হামলার মধ্যদিয়ে বিজয়োল্লাস করাটা নিঃসন্দেহে পুলিশের প্রতি ছাত্রজনতার তীব্র ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এমতাবস্থায় সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্তের স্বীকার হতে হয়েছে সাধারণ পুলিশ সদস্যদের। পুলিশকে জনগণের বন্ধু থেকে শত্রুতে পরিণত করা হয়েছে। যার জন্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দোষী সাব্যস্ত করে বর্তমান সরকারের নিকট দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদেরকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানিয়েছেন একাধিক পুলিশ সদস্য।
এদিকে বিশেষ সূত্র জানিয়েছে, আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের সাথে শীঘ্রই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এম সাখাওয়াত হোসেনের জরুরী বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেখানে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার পাশাপাশি ১১ দফা দাবীতে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যরা পুলিশের লোগো ও ইউনিফর্মে পরিবর্তন আনার ব্যাপারে আলোচনা করার কথা ভাবছেন।
পরিবর্তন করা হতে পারে বাংলাদেশ পুলিশের লগো ও ইউনিফর্ম · ছবি: তিতাস টাইমস টুয়েন্টিফোর |
উল্লেখ্য, দেশজুড়ে ২০১৮ সালে সর্বপ্রথম ছাত্রসমাজের উদ্যোগে গড়ে তোলা ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন’ নামক যৌক্তিক ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ সহ উক্ত দলীয় মদদপুষ্ট মুক্তিযুদ্ধাদের বেশকিছু সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধাচারণ ব্যাতিত দলমত নির্বিশেষে অন্যান্য প্রায় সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি দেশের সর্বস্তরের সচেতন নাগরিক আন্দোলনেরত শিক্ষার্থীদের পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিকট কোটা প্রথার যৌক্তিক সংস্কারের জোড়ালো দাবী জানায়। অতঃপর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে সিদ্ধান্ত এলেও এর বিপক্ষে হাইকোর্টে করা আপিলের প্রেক্ষিতে পূর্বের কোটা প্রথা বহাল রাখার পক্ষে সিদ্ধান্ত আসার সম্ভাবনাময় পরিস্থিতিতে ২০২৪ সালে আবারও নতুন করে আলোচনায় আসে কোটা সংস্কার ইস্যু। যার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালে বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত হয় ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ নামক একটি সংগঠন।
• আরো পড়ুন: বদলে যাচ্ছে পুলিশের লোগো ও ইউনিফর্ম
বাংলাদেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ২০২৪ সালে দ্বিতীয় বারের মতো ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন’ এবং পরবর্তীতে ‘অসহযোগ আন্দোলন’ এর নেতৃত্ব দেয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়।
এমএ/ঢাকা/বিশেষ প্রতিনিধি/তিতাস টাইমস২৪
0 মন্তব্যসমূহ